শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কোভিডোত্তর বিশ্ব এবং গুতেরেসের আশাবাদ

কামরুল হাসান বাদল

আমরা ধরে নিয়েছিলাম কোভিডোত্তর বিশ্বকে নতুনভাবে দেখতে পাব। একটি মানবিক, শান্তিপূর্ণ ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্রসমূহের বিশ্বকে পেতে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি তা ইতোমধ্যে টের পেতে শুরু করেছি। বরং আশংকা হচ্ছে কোভিডোত্তর বিশ্ব বর্তমান বিশ্বের চেয়ে আরও বেশি যুদ্ধংদেহী, হিংসা-দ্বেষ ও হানাহানিপূর্ণ হবে।

বিশ্বের শান্তিকামী মানুষেরা ধরে নিয়েছিল, যুদ্ধবাজ বিশ্বনেতারা অবাধ পুঁজিবাদ, মুক্তবাজার ধারণা, ধর্মীয় জঙ্গিবাদ, উগ্র জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ বিষয়ে নতুন করে ভাববেন এবং প্রতিযোগিতামূলক সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অসারতা বুঝতে পারবেন। অর্থ-বিত্ত-বৈভব এবং অস্ত্র যে তাদের রক্ষা করতে পারবে না তা অনুধাবন করে একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছাবেন।

আমার ধারণা ইতোমধ্যে বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে গেছে যে আগামী বিশ্ব বা কোভিডোত্তর বিশ্ব শান্তিপূর্ণ হতে যাচ্ছে না। ভারতের ওপর চীনের আক্রমণ, ইয়েমেনে সৌদি আরবের সামরিক আগ্রাসন, আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ইত্যাদি ঘটনায় মনে হচ্ছে মহামারী আগামী বিশ্বের মৌলিক কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না। যুদ্ধবাজ বিশ্বনেতারা কোভিড-১৯ প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেয়ে তা নিয়ে ‘পলিটিক্স’ করার বিষয়ে বেশি মনোযোগী।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বক্তব্য একবার পড়ে নিতে পারি। তিনিও সাধারণ মানুষের মতো গভীর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বটে তবে দিনশেষে তার কণ্ঠেও উৎকণ্ঠাই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারী আরও সমতাসহ মানসম্পন্ন বিশ্ব গড়ে তুলতে কয়েক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে।’

শনিবার নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসাম্যের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। অনলাইনে দেওয়া বক্তৃতায় গুতেরেস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও বিস্তৃতভাবে এবং ন্যায্যতা অনুযায়ী ক্ষমতা, সম্পদ ও সুযোগের ভাগাভাগি নিশ্চিতে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাত দশকেরও আগে যে দেশগুলি শীর্ষে উঠে এসেছিল তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে ক্ষমতার সম্পর্ক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলি বিবেচনা করতে অস্বীকার করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও ভোটের অধিকার এবং ব্রেটন উডস পদ্ধতির বোর্ডগুলি এর উদাহরণ,”। বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অসাম্যের শুরু হয় শীর্ষ অবস্থান থেকে; প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য এই অসাম্য নিয়েই আমাদের কথা বলা উচিত’।

স্মর্তব্য যে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক ব্রেটন উডস পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।

তিনি বলেন, “আমরা যে সমাজগুলো নির্মাণ করেছি মহামারী এক্সরে ফিল্মের মতোই তার ভঙ্গুর কঙ্কালের ফাটলগুলো উন্মোচিত করেছে। সব জায়গায় বিরাজমান ভ্রান্ত ধারণা ও মিথ্যাচার প্রকাশ করে দিচ্ছে এটি: মুক্তবাজার সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারবে সেই মিথ্যা; বিনাবেতনের সেবামূলক কাজ কাজ না, সেই কল্পকাহিনী; আমরা বর্ণবাদ-উত্তর বিশ্বে বাস করছি সেই বিভ্রম; সেই অতিকথা যে আমরা সবাই একই নৌকায় আছি,” ভার্চুয়াল বক্তৃতায় বলেন গুতেরেস।

অসাম্যের চমৎকার উদাহরণটি দিয়েছেন পর্তুগালের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী। তিনি উল্লেখ করেন, “কারণ আমরা যখন একই সাগরে ভাসছি, এটি পরিষ্কার যে কিছু লোক বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে আছেন আর অন্যরা ভাসমান খড়কুটো আঁকড়ে ধরে আছেন,”। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত দেড় কোটির মতো মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে, প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৬ লাখেরও বেশি মানুষের। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতিসংঘ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ধনী দেশগুলোর কাছে এক হাজার ৩০ কোটি ডলার চাইলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭০ কোটি ডলার পেয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গুতেরেস বলেছেন, ‘ধনী দেশগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’ পরিবর্তিত বিশ্বে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা এবং সার্বজনীন ন্যূনতম আয় নিশ্চিতের সম্ভাব্যতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা জাল ও নতুন সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রয়োজন বলেও মত তার।

বিশ্বের কোটি কোটি বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শান্তকামী মানুষের দাবির প্রতিধ্বনিই যেন করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব, “আমরা কি বিশৃঙ্খলা, বিভেদ ও অসাম্যের ভেতর নিমজ্জিত থাকব? না কি অতীতের ভুলগুলো ঠিক করে সবার ভালোর জন্য একসঙ্গে অগ্রসর হব? এখনই সময় বিশ্বনেতাদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার,”।

অসাম্যের বিশ্বে সাম্য এবং অশান্ত বিশ্বে শান্তির যে স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল তা কি প্রতিষ্ঠিত হবে মহামারী কেটে গেলে? আমরা আশাবাদী হতে চাই বটে তবে আশাবাদের পাশাপাশি আগামীর যে বার্তাটি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তা জানতে নিচের অংশটুকু পাঠকদের পড়তে হবে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি ৯ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর ইতোমধ্যে পরিস্থিতি আরো মারাত্মক হচ্ছে। সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘ রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।

অর্থনৈতিক মন্দা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিপর্যয় আরও বেশি লোককে ক্ষুধার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকের জন্য পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহ অনেক ব্যয়বহুল, শুধু অপুষ্টিই নয়, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে স্থুলতাও বাড়ছে।

বিশ্ব স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রেশন শীর্ষক বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়, “কয়েক দশকে ধীরে ধীরে ক্ষুধার্তের সংখ্যা কমে আসার পরে ২০১৪ সাল থেকে আবার তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।”

রিপোর্টে বলা হয়, ‘কেবল পর্যাপ্ত খাবরের অভাবই নয়, পুষ্টিকর খাবারের অভাব এবং এগুলো স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মত উপায়ে পাওয়া ব্যয় সাপেক্ষ।

রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৬৯ কোটি অথবা ৮.৯ শতাংশ লোক ক্ষুধার্ত। এরমধ্যে ১ কোটি বেড়েছে ২০১৯ সালে, গত ৫ বছরে বেড়েছে ৬ কোটি। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব থেকে দারিদ্র নিরসনের পূর্ববর্তী পরিকল্পনা সফল হবে না। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৯ কোটি অথবা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯.৮ শতাংশ।’

জাতিসংঘের ৫টি এজেন্সি খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট (আইএফএডি), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সম্মিলিতভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে দারিদ্র বৃদ্ধি পাবে, এতে আরও ৮ কোটি ৩০ লাখ থেকে ১৩ কোটি ২০ লাখ লোক নতুন করে দরিদ্র হতে পারে।’

এতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে থেকেই বিশ্বে দারিদ্র পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। ২০৩০ সাল নাগাদ আফ্রিকার এক চতুর্থাংশ লোক ক্ষুধার্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে এই হার ১৯.১ ভাগ যা বিশ্বের গড় হিসাবের দ্বিগুণ।

এশিয়ায় ২০১৫ থেকে ক্ষুধার্তদের সংখ্যা ৮০ লাখ কমেছে, তবে বিশ্বের অপুষ্টির শিকার মানুষের অর্ধেকের বেশি এই মহাদেশে বাস করে।’

এই গেল বিশ্ব পরিস্থিতির খবর। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান কী হতে পারে অর্থাৎ বাংলাদেশে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে কীভাবে? বৈশ্বিক যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে তার পাশাপাশি বাংলাদেশকে আরও বড় একটি প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যেতে হবে তা হল, সমাজের সর্বস্তরে বিরাজমান দুর্নীতিকে। দুর্নীতি যে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের বাধা তা এতদিন আলোচিত হলেও এই দুর্নীতির কারণে এখন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মাঝখানে সামান্য উত্তরণ ঘটলেও এখন আবার ব্যাপকভাবে তা আলোচনায় এসেছে। দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ পাচার, সুইস ব্যাংকে জমানো টাকার পরিমাণ ইত্যাদি কেলেঙ্কারীর সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে মহামারী কালেও চিকিৎসাক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপকতা।

করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে যখন বিশ্ব লণ্ডভণ্ড, হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করছে, মৃত ব্যক্তির সন্তান-সন্ততি ও স্বজনরাও যখন লাশ গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে তখন অনেকে স্বাভাবিকভাবে মনে করেছিল মানুষের লোভ-লালসার মাত্রা কিছুটা কমবে। কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন, মানুষ বড় বিচিত্র। করোনাভাইরাসে যেকোনো সময় মৃত্যু অনিবার্য জেনেও মানুষের লোভকে লাগাম দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে মানহীন মাস্ক সরবরাহ থেকে শুরু করে কোভিড টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা চলতেই থাকে।

জাতিসংঘের আশংকা যদি সত্যি হয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না। কারণ আমরা জানি, খাদ্যের অভাবে মানুষ মারা যায় না। মারা যায় খাদ্য রাজনীতির কারণে। অসম বণ্টন, অতি মুনাফা এবং ভুল তথ্য সরবরাহের কারণে। আগের মতোই বিশ্বের এক প্রান্তে উদ্বৃত্ত খাদ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হবে আর অন্য প্রান্তে মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগকে সত্যে পরিণত করে যেভাবে দেশের পর দেশ ধ্বংস করা হয়েছে সে প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। ধনী-গরিবের ব্যবধান বাড়তেই থাকবে। অস্ত্র উৎপাদন অব্যাহত থাকবে আর তা বিক্রির লক্ষ্যে দেশে-দেশে যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই থাকবে। এভাবে হতাশা ছড়ানো আমার লক্ষ্য নয়। আমি খুশি হব যদি আমার আশংকা সত্যি না হয়। তবে তা হবে না কারণ, কোভিডোত্তর বিশ্ব শাসন করবেন তো বর্তমান নেতারাই যারা বিশ্বকে এতদিন নরকতুল্যই করে রেখেছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রশ্ন- “আমরা কি বিশৃঙ্খলা, বিভেদ ও অসাম্যের ভেতর নিমজ্জিত থাকব? না কি অতীতের ভুলগুলো ঠিক করে সবার ভালোর জন্য একসঙ্গে অগ্রসর হব? এখনই সময় বিশ্বনেতাদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার,”। আমার ধারণা এই প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলবে না এবং বিশ্বনেতারা মানুষের কল্যাণে কোনো একক সিদ্ধান্তে আসবেন না। বাংলাদেশের মাফিয়াদের মতো বিশ্বনেতাদের কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।

কামরুল হাসান বাদললেখক, কবি ও সাংবাদিক।

( লেখাটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে সংগৃহিত )

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888